একদা এক বনে এক খরগোশ আর এক কচ্ছপ পাশাপাশি বাস করত। দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল, কিন্তু মাঝে মাঝে খুনসুটি আর ঠাট্টা-মশকরা হতোই।
খরগোশ ছিল খুবই দ্রুতগামী। বাতাসকেও হার মানিয়ে দৌড়াতে পারত। আর কচ্ছপ? সে চলত ধীরে-ধীরে, হেলেদুলে। কচ্ছপের এই ধীর গতিতে হাঁটা দেখে একদিন খরগোশ হেসে লুটোপুটি খেয়ে বলল, “দাদা, তুমি কি হাঁটাই শিখলে না?”
প্রতিযোগিতার প্রস্তাব
কচ্ছপ খরগোশের এমন ব্যঙ্গ সহ্য করতে না পেরে গম্ভীর কণ্ঠে বলল, “হাসির কি আছে? এসো এক প্রতিযোগিতায় নামি। তখন দেখা যাবে কে কত দ্রুত।”
খরগোশ হো হো করে হেসে বলল, “তুমি? প্রতিযোগিতা? আমার সঙ্গে? বেশ, যখন বলছ তখন হবে। কোথায় হবে দৌড়?”
কচ্ছপ বলল, “ওই দূরের নদীর ধারে অশ্বত্থ গাছ পর্যন্ত।”
দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু
![]() |
খরগোশ ও কচ্ছপের গল্প |
হাওয়ার মৃদু শীতল স্পর্শে খরগোশের চোখে ঘুম নেমে এলো। সে অজান্তেই ঘুমিয়ে পড়ল।
কচ্ছপের ধৈর্য ও অটলতা
ওদিকে কচ্ছপ একটুও না থেমে, অদম্য ধৈর্য নিয়ে হাঁটতে লাগল। গরম-রোদ্দুরকে উপেক্ষা করে সে নিরলসভাবে চলল।
অবশেষে কচ্ছপ পৌঁছে গেল নদীর ধারে সেই অশ্বত্থ গাছের কাছে। সেখানে বিশ্রাম নিচ্ছিল কচ্ছপ, আর তখনই ঘুম ভেঙে খরগোশ ছুটে এলো। সে হাঁপাতে হাঁপাতে দেখল কচ্ছপ আগেই গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছে।
শিক্ষণীয় উপদেশ
“ধীরে চলো, স্থির চলো – সাফল্য নিশ্চয়ই আসবে।”
এই গল্প আমাদের শেখায় যে ধৈর্য ও অটলতা থাকলে জীবনের যেকোনো দৌড়ে জয়লাভ করা সম্ভব। দ্রুতগামী হওয়া নয়, ধারাবাহিকতা ও মনোযোগই আসল।
👉 এই গল্প থেকে যা শিখলাম:
- অহংকার পতনের মূল।
- ধৈর্য ও পরিশ্রমের মাধ্যমে যে কোনো বাধা জয় করা যায়।
- অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ক্ষতির কারণ হতে পারে।
📖 ধীর ও স্থির ব্যক্তিরাই প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করে।